স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি ও দুরবস্থার চিত্র

পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত এক গ্রাম থেকে হাতে মারাত্মক জখম নিয়ে উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের হাসপাতাল ঘুরে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আসেন নূর বাহাদুর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ থেকে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরছেন তিনি। ভোগান্তি আর হয়রানির শুরুটা হয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে। 

ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে জরুরি বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ঐদিন ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগে অস্ত্রোপচার হয় তার। পরবর্তী চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান-নিটোরে। তারা সময় দেয় ১ মাস পরে। দেশে শুরু হয় করোনাকাল। ২৭ মার্চ হাসপাতালে আসলে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। আবারো তারিখ দেয় ৫ মাস পর। ১১ আগস্ট বাহাদুর হাসপাতালে এসে দেখেন সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বন্ধ রয়েছে হ্যান্ড ক্লিনিকের কার্যক্রম।

আবারো আসেন ১ সপ্তাহ পরে। কারণ, এই ক্লিনিকটি সপ্তাহে মাত্র একদিন চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকে। ১৮ আগস্ট অস্ত্রোপচারের জন্য আসলে পরীক্ষার পরামর্শ দেয়া হয় রোগীকে। আবারো ১ সপ্তাহ পরে, রোগীকে দেখা করতে হয় চিকিৎসকের সঙ্গে। তখন তারা জানান, নির্দিষ্ট পরীক্ষাটি হয় না নিটোরে। পরামর্শ দেন নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল অথবা একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার। ঐদিন এ দুটি জায়গায় ঘুরে, রোগী জানতে পারেন কোভিডের কারণে বন্ধ রয়েছে পরীক্ষাটি। পরের দিন, ২ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘোরার পরে উত্তর আসে একই। শেষ পর্যন্ত ৩ আগস্ট বারডেম হাসপাতালে পরীক্ষার সিরিয়াল পান বাহাদুর। কিন্তু, তা ২ মাস পরের। ২৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আবারো নিটোরে আসেন তিনি। এবার ১ বছর পর, ৩০ জুলাই ২০২১ সালের তারিখ দেয়া তাকে। আর চিকিৎসক প্রথমবারের মতো জানান, করোনা মহামারির কারণে হ্যান্ড ক্লিনিকের অস্ত্রোপচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে তাদের।

নূর বাহাদুর বলেন, ‘অনেক ঘোরাঘুরির পর জানলাম বারডেমে খোলা আছে। তবে দেড়মাস পর আমি সিরিয়াল পাইলাম। টেস্ট করাইতে দেড় মাস লাগলো। টেস্ট করানোর পর আমি যখন আবার পঙ্গু হাসপাতালে আসলাম ডাক্তার আমার রিপোর্ট দেখল না। বলল আগামী বছর জুলাইয়ের ৩০ তারিখে আমার ডেট। পরে আমি খোঁজ নিয়ে জানলাম যে অপারেশনেই হচ্ছে না পঙ্গুতে। এই কথাটা আসলে আমি যে এতদিন ঘুরলাম কেউ বলল না আমাকে। ব্লাড টেস্টের রিসিট কাটা এক জায়গায় টাকা জমা দিতে হয় আরেক জায়গায়। তারপর টেস্ট করাতে হয়  চার-পাঁচ জায়গায় গিয়ে। এটা দুই-চার দিনে সম্ভব না। রোগী ডাক্তার দেখিয়ে টেস্ট করিয়ে এক মাসের মধ্যে কেউ আবার ডাক্তার দেখাতে পারবে না।’

অথচ, প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালেই রয়েছে তথ্য ডেস্ক। সেই ডেস্কে তথ্য পাওয়া যেন সোনার হরিণ। অথচ একটি মাত্র তথ্য নূর বাহাদুরের ৬ মাসের ভোগান্তি শেষ করতে পারতো।

সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষ রাজধানীতে আসে উন্নত চিকিৎসার জন্য, তখন তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তথ্য পাওয়া। এই নির্ভুল তথ্য যারা না পায় তারা পড়ে দালাল চক্রের ফাঁদে। এরপরে চিকিৎসা নেয়া তাদের জন্য হয়ে যায় দুর্বিষহ।

হাসপাতালের প্রবেশমুখ, বারান্দা, করিডোরে গ্রাম থেকে আসা রোগী বা তার স্বজনদের বসে থাকার দৃশ্য গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে অসংখ্যবার। কারণ, তাদের যে নেই এই মেগাসিটিতে যাবার জায়গাও। বোঝেন না দুর্নীতি আর ক্ষমতাচক্রের মারপ্যাঁচও।

মাগুরা থেকে চিকিৎসার জন্য আসা এক রোগী বলেন, ‘আমাকে মাগুরা থেকে পাঠাইছে বলছে ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এখানে এসে কোন চিকিৎসাই পাচ্ছি না। অনেক হয়রানি হতে হচ্ছে।’

কেন এই সংকট? উত্তরটা পরিসংখ্যানে দেয়া জটিল।

তবে, পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে, দেশে অনুমিত জনসংখ্যা ১৭ কোটির বেশি। আর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে হাসপাতালের সংখ্যা ৫ হাজার ৭শ ৯টি। এসব হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসক ৩০ হাজারসহ নিবন্ধিত চিকিৎসক এক লাখের মতো। স্বাস্থ্যকর্মী এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি নয়। আর, শয্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৪টি। সেই হিসেবে প্রতি ১৭’শ জনের জন্য ১ জন চিকিৎসক এবং ১৩০৮ জনের জন্য ১ জন নার্স এবং ১ হাজার ১শ ৫৯ জনের জন্য হাসপাতালে ১টি করে শয্যা রয়েছে।

কিন্তু, গাণিতিক সমীকরণটা পাল্টে যায় যখন জটিল রোগ নিয়ে সারাদেশ থেকে রোগীরা রাজধানীর হাতে গোনা কিছু হাসপাতালে ভিড় করেন।

এক রোগী বলেন, ডাক্তার বলছে বেড খালি আছে। টাকা জমা দিয়ে আসছি। এখানে এসে দেখি বেডটা ফিল আপ।

নার্স বলেন, ‘আগে রিসিপশনে খোঁজ নিতে হয় যে, বেডটা খালি আছে কিনা। উনি আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে বিলটা পেইড করে আসছে। কিন্তু আমাদের এখানে বিছানা অলরেডি বুকড হয়ে গেছে। আমরা এখন অন্যজনের বিছানা দিতে পারব না।’

হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারী বা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রোগীদের অনেক পুরনো। শুরুটা হয় হাসপাতালে ঢোকার পর থেকেই। পাওয়া যায় না ট্রলি বা হুইলচেয়ার। স্বজনকে বাঁচাতে এ যেন মরিয়া চেষ্টা পরিবারের।

ধাক্কা সামলে হাসপাতালের কোথাও ঠাঁই হলেও আছে দুর্ব্যবহার আর সেবা পাওয়ার অনিশ্চয়তা।

অবশ্য, যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই তাদের বরাবরই অজুহাত লোকবলের। সঙ্গে রয়েছে রোগীর স্বজনদের অসচেতনতা আর দুর্ব্যবহারের অভিযোগও।

এক হাসপাতাল কর্মকর্তা বলেন, রোগীর সাথে আমি খারাপ ব্যবহার কেন করব। এটা প্রশ্নেই আসে না। রোগীরা যখন এলোমেলো করে ট্রলি টানা হেঁছড়া করে তখন একটু রাগ হয়।

আরেক হাসপাতাল কর্মকর্তা বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করি। কোন ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে। ১০০ টা কাজ করলে ২টা ভুল থাকবেই এটাই স্বাভাবিক।

আর, আন্তরিকতা অভাবের অভিযোগ স্বীকার করেই দায়িত্বরতরা জানান, দালালচক্র এবং সিন্ডিকেটের প্রভাব বিশৃঙ্খল করে রেখেছে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনাকে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের অনেক কিছুতেই ল্যাকিং রয়েছে। আমরা যখন একজন পেশেন্টকে হ্যান্ডেল করছি সব পর্যায়ে তখন যে আন্তরিকতাটা এবং তার প্রতি যে সহানুভূতি সেটা দেখানো আমাদের জন্য খুব ইম্পরট্যান্ট। সেই জায়গায় আমাদের বেশ ঘাটতি আছে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আমাদের নার্সরা বা আমাদের ডাক্তাররা সুন্দরভাবে একজন রোগীকে গ্রহণ করে নাই। সবার ক্ষেত্রেই আমি বলব না অল্প কিছু সংখ্যক নার্স এবং ডাক্তারদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল গনি মোল্লাহ বলেন, ‘ডাক্তার এবং নার্সদের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। সরকারি ভাবেই এদেরকে বাধ্য করতে হবে। আমাদেরকে দিয়েই আমাদেরকে বাধ্য করতে হবে।’

এদিকে, বেসরকারি হাসপাতালের গল্পটা অন্য। করোনার সময়ে নানা অজুহাতে প্রথমদিকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখে অধিকাংশ হাসপাতাল। সরকারের জোর জবরদস্তিতে ধীরে ধীরে সেবায় ফিরলেও, এখনো স্বাভাবিক হয়নি অনেক হাসপাতালের কার্যক্রম। কোভিড-১৯ ভাইরাস মহামারিকে পুঁজি করে বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল শুরু করে দুর্নীতি। জনগণের সামনে আসে রিজেন্ট হাসপাতালের সাহেদ, জেকেজি’র সাবরিনার মতো কেলেঙ্কারি। চলে হাসপাতালে হাসপাতালে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযান। মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্সসহ নানা অনিয়মে সিলগালা করা হয় বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে।

তবে, গুটি কয়েক হাসপাতালে এমন দুর্নীতি প্রভাব ফেলেছে পুরো বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতে।

ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমাদের হেলথ সেক্টর হচ্ছে পথ শিশু। তাকে নিয়ে সবাই তামাশা করছে। যার যা খুশি করছে। যে মন্ত্রণালয়ের হাসপাতালে এসে হামলা দিচ্ছে। যার অধিকার নেই আসার, সেও এখানে এসে ইন্টারফেয়ার করছে।’

কোভিড-১৯ সময়কালে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর নানা বির্তকিত অবস্থানের কারণে মানুষের আস্থাহীনতার জায়গা অনেক বেড়েছে। এছাড়া বিদেশ যাত্রা যেহেতু সম্ভব হচ্ছে না, রোগীরা অনেকটা জালে আটকা পড়া মাছের মতো অবস্থায় রয়েছেন।

এর মাঝেই দুদকের অনুসন্ধানে একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খতিয়ান। চলে দুর্নীতি দমন-কমিশন আর আদালত পাড়ায় হইচই। দুদকেও হাজির হতে হয় স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রধানকে। তুমুল সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানইর রহমান বলেন, ‘সত্যিকারভাবে চিকিৎসা পাক, এটা যে আমরা কখনো করি নাই, এটা আমরা বুঝতে পারছি করোনাকালে এসে। দুর্নীতিটা এমনভাবে জড়িয়ে গেছে এবং দুর্নীতিটা ভিতর থেকে এমনভাবে আমার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে খেয়ে ফেলছে। সেন্ট্রালে থাকলে এক জায়গা থেকে খেয়ে ফেলা খুব সহজ। এটা যদি ৬৪ জায়গায় বিস্তৃত হয়ে যায়। ৬৪ টি জায়গা থেকে খুঁজে খুঁজে খাওয়া বেশ কঠিন হয়ে যাবে। তাহলে এটা শুধুমাত্র কিছু লোক ঢাকা শহরে বসে থেকে যারা প্ল্যানার ওরা যেন সহজে একজন দুজন লোকের হাতে রেখে ওদেরকে ধরেই কাজটা সেরে ফেলতে পারে এজন্য ডিসেন্ট্রালাইজ করছে না। ‘

২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ২৫ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকার মধ্যে ১৩ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা চলে গেছে পরিচালন খাতে। এর মাত্র এক চতুর্থাংশের মত বরাদ্দ হচ্ছে ওষুধ ও সরঞ্জাম কেনার পেছনে। বাকি অর্থ চলে যাচ্ছে বেতন ও ভাতায়। যদিও প্রয়োজনের তুলনাই নার্স ও চিকিৎসকের সংখ্যা এখনো অনেক কম। এই বরাদ্দেরও পুরোটা খরচ করতে পারে না স্বাস্থ্যখাত। বরাদ্দ থেকে এবারও ১ হাজার কোটি টাকা ফেরত চলে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন বরাদ্দের শতকরা ৮০ ভাগেই দুর্নীতির পেটে চলে যায়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানইর রহমান বলেন, ইনভেস্টিগেট করে যাদের খুঁজে পাচ্ছি, এটাকে ধরে একটা বাহবা নিতে চাচ্ছি। কিন্তু আসলে এটাকে মূল উৎপাটন করার জন্য এটার ভিতরে গিয়ে, এই চক্র যারা সই করছে, যারা সই করার দায়িত্বে আছে, তাদেরকে যদি আমরা একাউন্টেবল করতে না পারি, এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কিন্তু ঝুঁকিমুক্ত করা যাবে না।

২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে, তা প্রতিহতের জন্য মন্ত্রণালয়কে ২৫ দফা সুপারিশ করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্রয়, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসা দেয়া, চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ব্যবহার, ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা হয়। কোনো ধরনের অগ্রগতি না থাকায় এবার নিদের্শনা আসে উচ্চ আদালত থেকে। প্রতিবেদনের ১ বছর ৯ মাস পরে, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের সেই সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে দুই মাসের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রক্রিয়াটা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং ন্যায়বিচার পেতে হলে সময়ের জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু যেটা ডিপার্টমেন্ট এর প্রসিডিং, ডিপার্টমেন্ট এর প্রসিডিং নিতে এত সময় লাগার কথা না। দুদককে কেন খুঁজে বের করতে হবে। এটা তো দুদকের জন্য এক্সট্রা বার্ডেন। আপনার অধিদপ্তরে দুর্নীতি হচ্ছে সেটা দুদককে ফাইন্ড আউট করতে হচ্ছে কিন্তু আপনি বলছেন না। দুর্নীতি দমন কমিশন যে সাজেশনটা দিয়েছে সেটা কমপ্লাই করার জন্য হাইকোর্টে  আসতে হবে কেন। দ্যাট মিনস আপনার প্রতিষ্ঠান টোটালি নীরব নিস্তব্ধ। ওখানে আইন কানুনের কোন বালাই নেই। চেইন অফ কমান্ডের কিছু নেই। এটাই তো বুঝা যাচ্ছে। আজকে ১ বছর ১০ মাসের মাথায় কেন হাইকোর্টকে বলতে হবে, তুমি কি পদক্ষেপ নিলে তুমি আমাদেরকে জানাও।’

এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দিতে অসম্মতি জানান।

রাতারাতি সম্ভব নয় দুর্নীতিচক্র আর বহু বছরের মানসিকতা কাটিয়ে ওঠা। কিন্তু, চিকিৎসাকে সেবা খাতে পরিণত করতে কঠোর পদক্ষেপের বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি আর নানা অব্যবস্থাপনার খবর সারাদেশে আলোড়ন তুলেছে। এই আলোড়ন মানুষের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করে। আস্থার এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে অনেক।

আপনি আরও পড়তে পারেন